স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল।’
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি স্বাধীনতার সূতিকাগার। বাড়িটি সবসময় জনগণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ৩২ নম্বরের বাড়ির অনেক ইট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব নিজের হাতে গেঁথেছেন। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও একই রকম ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিষ্ঠুর ঘাতকরা নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও নিস্তার দেয়নি। এমনকি বিদেশেও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ভয়ানক বৈরী আচরণ সহ্য করেছেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার পাশে থাকায় তার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী ফিরে এসেছিলেন বলে বাংলাদেশের ইতিহাস ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত গ্রন্থগুলো পড়ে তার আদর্শকে ধারণ ও চর্চার মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বি এম তাজুল ইসলাম এমপি উপস্থিত ছিলেন।