হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয় মাসের কন্যাশিশু রেখে মারা গেছেন ঘরনী সুমী বেগম। হাসপাতাল শয্যায় মৃত মায়ের বুকে দুধ পানের চেষ্টা করছে শিশুটি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ছবি অনেকেই শেয়ার করছেন। মন্তব্য করে অনেকে সমবেদনা জানাচ্ছেন, কেউ কেউ হাসপাতালের চিকিৎসক সেবিকাদের অবহেলার অভিযোগ এনে দোষারোপ করছেন। তবে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ওই নারীর যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।৩০ জুন (বুধবার) তীব্র পেটব্যথা নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ২৫ বছর বয়সী সুমি বেগম। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মারা যান। সুমি বেগম কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে।মৃত নারীর ভাই পারভেজ মিয়া জানান, সুমির স্বামীর বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকারবাজার এলাকায়। সপ্তাহখানেক আগে তিনি বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। এরমধ্যে পেটব্যথার সমস্যা নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পারভেজ মিয়া অভিযোগ করেন হাসপাতালের খামখেয়ালির। তিনি বলেন, চিকিৎসক সেবিকারা রোগীকে গুরুত্ব দেননি। এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলে তারা রোগীকে উন্নত হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দিতে পারতেন। তা না করায় তিনি মারাই গেলেন।এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি অবগত হবার পর আমি ওই রোগীর ফাইল তলব করে দেখেছি। চিকিৎসায় কোনো অসঙ্গতি মনে হয়নি। তারপর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখবো। হাসপাতালের কারো গাফিলতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবো।