রাজধানীর ওয়ারীর স্বামীবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে সজীব হাসান নামে এক যুবকের ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহনাজ পারভীন (৫০) নামে এক নারীকে।
জানা গেছে, তিনদিন ধরে ওই নারী নিখোঁজ ছিলেন। পরে ওই নারী তার স্বামীকে ফোন করলে পুলিশ নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে পাঁচ টুকরা লাশের পাশে শাহনাজকেও পাওয়া যায়। নিহত সজীব বুটিকসের কাজ করতেন।পুলিশের দাবি, সজীবের সাথে অভিযুক্ত নারীর দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম ছিলো। সম্প্রতি তার মেয়ের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ায় সজীব। এই অবস্থায় আজ সকালে বাসায় এলে শাহনাজকে চাকু মারার চেষ্টা করে সজীব। কিন্তু সেটি কেড়ে নিয়ে উল্টো তারই পেটে ঢুকিয়ে দেয় শাহনাজ। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে মরদেহ ৫ টুকরো করে ফেলে সে।
পুলিশ আরও জানায়, শাহনাজের সঙ্গে সজীবের পাঁচ বছর আগে সম্পর্ক হয়। তখন শাহনাজকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সজীব কে এম দাস লেনের চতুর্থ তলায় বাসা ভাড়া নেন। শাহনাজের বাসাও একই এলাকায়। তখন থেকে সজীবের বাসায় নিয়মিত যেতেন। শাহনাজ সজীবের বাসায় বুটিকসের কাজ শিখছেন বলে তার স্বামীকে বলে যেতেন। তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং একমাত্র মেয়ে কলেজে পড়েন।
খুনের পর পালানোর কোনো চেষ্টাই করেনি শাহনাজ। ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সজীবের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।