“দুদকের মামলায় শ্রীঘরে লক্ষ্মীপুরে জজ কোর্টের গাড়ি চালক”

0
867

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারী অফিসের গাড়ি চালকদের দুর্নীতি যেন থামছেইনা! এবার অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের গাড়ি চালক নূর হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা বেনামে আপন সহোদরের নামে ভোগ দখলের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের গাড়ী চালক নুর হোসেন পাটওয়ারী ও তার ভাই আমির হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলায় দুজনকে কারাগারে প্রেরন করা হয়।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।

আজ (১১ অক্টোবর) রবিবার সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দায়েরা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন। পিপি জনান,দুদকের মামলায় নূর হোসেন পাটোয়ারী জেলা ও দায়রা জজ জনাব রহিবুল ইসলাম এর আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিবাদীর আইনজীবী এডভোকেট হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন,দুদকের কাছে সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও জামিন অযোগ্য ধারা হওয়ায় তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

আসামি নুর হোসেন ও আমির হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ উল্যা পাটওয়ারীর ছেলে। নুর হোসেন লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের গাড়ি চালক ও আমির হোসেন একজন ব্যবসায়ী। এজাহার সূত্র জানায়, আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে থাকার অভিযোগে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় ২০১৯ সালের ৮ জুলাই নুর হোসেন ও আমির হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে। এরআগে ওই কার্যালয় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে।

২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় নোয়াখালী কার্যালয়কে ওই দুই ভাইয়ের সম্পদ বিবরণীর আদেশ জারির নির্দেশ দেয়। এ প্রেক্ষিতে ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী কার্যালয় বিবরণীর আদেশ জারি করেন। এরমধ্যে নুর হোসেনকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ও আমির হোসেনকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্পদ বিবরণীর ফরম বুঝিয়ে দেয়া হয়।তিনি সম্পদের হিসাব না দেওয়া তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ তাদেরকে ফরম বুঝিয়ে দিয়ে অফিস কপিতে স্বাক্ষর নেন। কিন্তু ফরম বুঝে পাওয়ার দিন থেকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করার কথা থাকলেও তারা তা করেনি। এমনকি তারা সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেননি। এজন্য দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

আপনার মন্তব্য জানান