সর্বজনীন পেনশন স্কিমে স্বকর্মে নিয়োজিতরা যেভাবে সুবিধা পাবেন

0
175

দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণকে পেনশনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। গত ১৭ আগস্ট এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাকরি করেন না এমন স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এ স্কিমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। তাঁদের স্কিমের নাম ‘সুরক্ষা’। চার কর্মসূচির অন্য তিনটি স্কিম হলো- প্রবাস, প্রগতি ও সমতা। আরও দুটি স্কিম পরে সুবিধাজনক সময়ে চালু করা হবে।

সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সী থেকে শুরু করে অনুর্ধ্ব ৫০ বছর বয়সী যে কেউ চাঁদা দিয়ে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন। যাদের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে তারাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তিনি পেনশন পাবেন টানা ১০ বছর চাঁদা দিয়ে যাওয়ার পর। অর্থাৎ স্কিম অনুযায়ী ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর হলেই তিনি সরকার থেকে পেনশন পেতে শুরু করবেন, তাঁকে আর চাঁদা দিতে হবে না। কিন্তু কেউ যদি ৫৫ বছর বয়সে এসে স্কিমে অংশ নেন তাহলে ৬৫ বয়স বয়স থেকে তিনি পেনশন পেতে শুরু করবেন।

স্বকর্মে নিয়োজিতদের পেনশন স্কিম কি সুবিধা দেবে

চাকরি করে না এমন স্বকর্মে নিয়োজিত স্বনির্ভর ব্যক্তির জন্য সুরক্ষা স্কিম। অর্থাৎ কেউ কোথাও চাকরি করছেন না কিন্তু নিজে উপার্জন করতে পারেন, তারা সুরক্ষা স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এই স্কিমে চাঁদার হার চার রকম- মাসে এক হাজার, দুই হাজার, তিন হাজার ও পাঁচ হাজার টাকা করে। সুরক্ষা স্কিমে ৪২ বছর ধরে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসে ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে। একই মেয়াদে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ৬৮ হাজার ৯৩১ টাকার পেনশন পাওয়া যাবে। প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে আজীবন মাসিক ১ লাখ ৩ হাজার ৩৯৬ টাকা এবং প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে আজীবন মাসিক ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ টাকা করে পেনশন পাবেন। এভাবে ১৫, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪০ বছর মেয়াদে চাঁদা দিয়ে বিভিন্ন পরিমাণে পেনশন সুবিধা নেওয়া যাবে।

এ বিষয়ে স্থপতি তানজীম হাসান সেলিম বলেন, উন্নত বিশ্বে নাগরিকদের জন্য পেনশন স্কিম রয়েছে। আমাদের দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই বড় সুখবর। এটা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হলে সবাই উপকৃত হবে।

আপনার মন্তব্য জানান