বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে শাহবাজ শরিফ বলেন, তার সরকারের মেয়াদ ১৪ আগস্ট তারিখে শেষ হবে।
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি যে ১২ আগস্ট তারিখে তিনি ও তার জোট সরকারের শরিকরা স্বাভাবিকভাবে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিবেন, নাকি দেশটির প্রেসিডেন্টকে তা দ্রুত ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেবেন।
ভাষণে নিজের দলের অর্জন সম্পর্কে শাহবাজ বলেন, খুব অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেও বিচক্ষণতার সঙ্গে নীতি বাস্তবায়ন করে অর্থনীতিকে আমরা ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছি।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ মাসের ক্ষমতায় জোট সরকার রাষ্ট্রকে বাঁচিয়েছে, রাজনীতি নয়।
তিনি বলেন, জোটের দলগুলো কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে খেলাপির হাত থেকে বাঁচাতে তাদের রাজনীতি বিসর্জন দিয়েছে। আমরা সবসময় আমাদের ভোট ব্যাংক নিয়ে চিন্তা না করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।
পাক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আইএমএফ প্রোগ্রাম অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল। যা আগের সরকার সবচেয়ে কঠিন শর্তে সম্মত হয়েছিল।
তিনি বলেন, গত সরকার দেশকে খেলাপির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিল।
মনে করা হচ্ছে এই মেয়াদে শাহবাজ শরিফের জাতির উদ্দেশে দেওয়া এটাই শেষ ভাষণ। তাই ইমরান খান সরকারের সময়ে নেয়া নানা পদক্ষেপের সমালোচান করেন তিনি। পাশাপাশি এই সরকারকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান মোট তিন বিলিয়ন আইএমএফ প্যাকেজের মধ্যে ১.২ বিলিয়ন ডলার হাতে পেয়েছে। গত তিন দিনে দেশটির ব্যাংকগুলোতে বিদেশি তহবিল থেকে মোট ৪.২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমান অর্থ এসেছে। এসব বৈদেশিক বিনিয়োগের কারণে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৩-১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন শাহবাজ শরিফ।