
কার্নেগি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সদস্য ডেভিড মিলার মনে করেন, পম্পেও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ করে ফেলেছেন। তিনি এই মন্ত্রণালয়কে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করার পাশাপাশি একের পর এক আইন লঙ্ঘনের মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জবাবদিহীতার হাত থেকে রক্ষা করে যাচ্ছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন পম্পেও। গত কয়েক মাসে করোনাভাইরাস ও হংকং পরিস্থিতি নিয়ে চীনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত সপ্তাহে হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন যেখানে পম্পেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে চীন পাল্টা একটি মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করে দিলে বিষয়টি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বুমেরাং হয়ে যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্যে চীন ও রাশিয়াবিরোধী নীতিঅবস্থান নিলেও পম্পেও সে নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা করে ফেলেছেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।